তিনি বলেন, ‘মুজিববর্ষের কর্মসূচিসহ গত এক বছরে বন বিভাগের মাধ্যমে দেশে মোট ৮ কোটি ৬১ লাখ ৬২ হাজার বৃক্ষ রোপণ করা হয়েছে। এসব বৃক্ষ জলবায়ু পরিবর্তন রোধ, কার্বন নিঃসরণ প্রশমন, অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি ও খাদ্য-পুষ্টিসহ দেশের বৃক্ষাচ্ছাদন বৃদ্ধিসহ পরিবেশ ও প্রতিবেশ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
তথ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এক কোটি বৃক্ষের চারা বিতরণ ও রোপণ কর্মসূচি সফলভাবে সম্পাদন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এখন আমাদের সবার সাংবিধানিক দায়িত্ব। সবাই সম্মিলিতভাবে প্রকৃতি সংরক্ষণের লক্ষ্যে কাজ করলেই আমরা দেশের পরিবেশ উন্নত করতে পারব।’
বন মন্ত্রী বলেন, ‘মুজিববর্ষের এক কোটি চারা রোপণের পাশাপাশি চলতি বছরে বন অধিদপ্তর কর্তৃক বিভিন্ন প্রকল্প ও রাজস্ব বাজেটের আওতায় ১৪,৬৬৯ হেক্টর ব্লক বাগান, ১৬১০ কিলোমিটার স্ট্রিপ বাগান এবং উপকূলীয় এলাকায় ১০,০৭৭ হেক্টর ম্যানগ্রোভ বাগান সৃজনের মাধ্যমে ৭ কোটি ৪৬ লাখ ৮২ হাজার চারা রোপণ করা হয়েছে। এছাড়াও জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে সংসদ সদস্যদের মাধ্যমে মোট ১৪ লাখ ৮০ হাজারটি বিভিন্ন প্রজাতির বনজ, ফলদ ও ঔষধি বৃক্ষের চারা সারা দেশে রোপণের জন্য বিতরণ করা হয়েছে।’
এসব গাছের সঠিক পরিচর্যা করার জন্য মন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
গত ১৬ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন প্রাঙ্গণে ১ কোটি গাছের চারা রোপণের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, ‘এরপর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে পরিকল্পনা মতো সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্য, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় এক কোটি চারা বিতরণ ও রোপণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। এক কোটি চারা ৩৭,৫৯৮টি প্রতিষ্ঠান, সংস্থা ও ব্যক্তির মাধ্যমে বিতরণ ও রোপণ করা হয়। প্রতিটি জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে কোথায়, কী পরিমাণ বৃক্ষের চারা কখন, কীভাবে, কাদের মাধ্যমে বিতরণ এবং রোপণ করা হয়েছে তার বিস্তারিত ডাটাবেজ বন বিভাগে সংরক্ষণ করা হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বনের গাছ রক্ষায় সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। এছাড়া ইট পোড়ানো নিরুৎসাহিত করতে সকল সরকারি কাজে ২০২৫ সালের মধ্যে শতভাগ ব্লক ইট ব্যবহারের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হচ্ছে।